আমরা অনেকেই মনে করে থাকি, বজ্রপাতে নিহত মানুষের শরীরে মূল্যবান জিনিস তৈরি হয়। তারা হয়তো ধারণা করে লোহার ভেতর দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি পাস হলে প্রবাহিত হলে যেভাবে লোহা চুম্বক হয়ে যায় এক্ষেত্রেও সেরকম কো’নকিছু হয়। কিন্তু’ এটা তো’ পুরোটাই অ’ন্ধবি’শ্বাস।
ইলেকট্রিক শক খেয়ে মানুষের মৃত্যু হলে মৃতদেহ যেমন হয়! বজ্রপাতে মৃত মানুষের মৃতদেহ ঠিক একইরকম হয়। এদের মধ্যে কোনও রকম পার্থক্য থাকেনা। এই ধরনের লাশ থেকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এক্সট্রা কোনো বেনিফিট পাওয়া যায় না।বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরের এ সময়টিতে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে।কিন্তু এভাবে মৃতদেহ চুরির ‘পেছনে কী কার’ণ রয়ে’ছে?হাসপা’তালে’র ডাক্তারের’ বক্তব্য -‘ঢাকা মেডি’কেল কলে’জ হাস’পাতালের ফরে’নসি’ক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, “এর পেছনে কারণ একধর’নের মি’থ্যা বিশ্বাস।
সোহেল মাহমু’দ বলেন, “অনে’কেই মনে করেন,’ বজ্র’পাতে নিহত মানু’ষের শরীরে মূল্যবান জি’নিস তৈরি হয়’। তা’রা হয়তো ধার’ণা করে লোহার ভেতর দি’য়ে ইলেক্ট্রি’সিটি পাস প্রবাহিত হলে যেভাবে লোহা চুম্বক হয়ে যায়, এক্ষেত্রেও সেরকম কোনকিছু হয়। কিন্তু এটা তো পুরোটাই অন্ধবিশ্বাস।
এছাড়াও কবিরাজ, কালোজাদু করতে ব্যবহার হয় -যারা ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে,সাধনা করে তাদের মতে মৃত ব্যাক্তির কোনো কোনো হাড় দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সাধনার মাধ্যমে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করা যায় । তবে,সাধারণ মৃত ব্যাক্তির হাড়ের চেয়ে বর্জপাতে মৃত ব্যাক্তির হাড় নাকি এক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকারী আর এই জন্যেই তারা লাশগুলো চুরি করে।তবে এর জুক্তির পেছে কোন বৈজ্ঞানিক কারন আছে বলে মনে করা যাই না।
Leave a Reply